গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য্যবর্ধিত শোভাষিত শতবছরের পুরোনো প্রাচীন কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বুধভার (৯ জুন/২০২১) কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়া গাছ কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের পত্রাদেশ জারি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, আপাদত গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। আবার গাছের নিলাম যারা পেয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত গাছ কর্তন না করার কোন সিদ্ধান্ত তাদের হাতে পৌছেনি। কার্যাদেশ অনুযায়ী তারা যেকোন মুর্হুতে এ গাছ কর্তন করতে পারেন। তাই যতক্ষণ চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এদিকে আন্দোলনকারীরা ‘গৌরীপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ মহোদয়ের কার্যালয়ের সম্মুখে অবস্থিত প্রাচীন ২টি কৃষ্ণচূড়া গাছসহ জীবিত গাছ কর্তনের সিদ্ধান্ত’ দাবিকরণের দাবিতে দেয়া স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করেছেন ১৪৮, ময়মনসিংহ-৩, গৌরীপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়েল সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন দপ্তরে।
তারা স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করেন ‘এই ২টি গাছের কারণে কলেজের সৌন্দর্য্যবর্ধিত হয়েছে এবং পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় দশর্ণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে গৌরীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস। এছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাসে জীবিত গাছগুলোকে মৃত/ ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যায়িত করে কলেজের একটি চক্র ও অসাধু ব্যবসায়ী গাছ কেটে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে, তাদের এ ধরণের তৎপরতা বন্ধে আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এমতাবস্থায় কলেজের গাছ কর্তন করা মানে কলেজের সৌন্দর্য্যকে হত্যা করার সামীল।’
ছবির হাটের এডমিন ও কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি জানান, অধ্যক্ষ মহোদয়ের আমি কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে গাছ না কেটে ডালপালা আপাদত কাটা হবে। দু’টি গাছ কর্তন না করার চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এবং এ ধরণের সিদ্ধান্তের কোন পত্রাদেশ নিলাম ডাককারী পায়নি। তাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
স্মারকলিপিতে আবু কাউচার চৌধুরী রন্টি, সারোয়ার হোসেন সোহেল, ওয়ায়দুর রহমান, স্বপন মিয়া, ফারুক খান, শফিকুল ইসলাম, রইছ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মশিউর রহমান, আরিফুল ইসলামসহ ৪২জনের স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য যে, ৬টি গাছ ৭৩ হাজার টাকায় নিলাম দেয়া হয়েছে। নিলাম দেয়ার পর কলেজ ক্যাম্পাসে গাছকাটার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। গাছ কাটার কর্তনের আদেশ বাতিল করে পুনঃনিলামের মাধ্যমে মৃত গাছগুলো বিক্রি করা হোক।